মুনসুর আলী-ভ্রাম্যামান প্রতিনিধি, ১৬ মার্চ ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ১৬ মার্চ র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন সাছনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোঃ হালিম (২৬)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কুল্লা ইউপির অন্তরগত মাথুলিয়া সাকিনস্থ আকসিনগর হাউজিং প্রকল্পস্থ কাঁচা রাস্তার পশ্বিম পাশে ফাঁকা যায়গায় একটি অজ্ঞাত নামা মৃত দেহ পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ ছায় তদন্ত শুরু করে।
জানা যায় যে, হত্যাকারীরা মূলত অটো রিক্সা ছিনতাইকারী। গত ০৯ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগী আলী হোসেন ও সজিব নিহত ভিকটিমকে তার অটো রিক্সাসহ অপহরণ করে ধামরাই থানাধীন আকসিনগর হাউজিং প্রকল্পস্থ জন শুন্য স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে অটোরিক্সা নিয়ে যায়। হত্যাকরীরা উক্ত ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার জন্য ভিকটিমের আকৃতি নষ্ট করার চেষ্টা করে।
গত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকার সময় এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপি ৭৫৯৫০৫৬৯৬৯ ধামরাই থানাধীন এলাকায় কিলো-৩ এর ডিউটি চলাকালীন সময় ধামরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর মাধ্যমে মুঠোফোনে জানতে পারেন ধামরাই থানাধীন কুল্লা ইউপির অন্তরগত মাথুলিয়া সাকিনস্থ আকসিনগর হাউজিং প্রকল্পস্থ কাঁচা রাস্তার পশ্বিম পাশে ফাঁকা যায়গায় একটি অজ্ঞাত নামা মৃত দেহ পড়ে আছে। তখন তিনি মৃত দেহের সুরতহাল পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে ভিকটিম মুসলিম ছিল এবং তার বয়স আনুমানিক ৩৭ বছর। উক্ত মৃত দেহটির দুই হাত পিছনের দিকে এবং দুই পা রশি দিয়ে বাধা ছিল। অতঃপর উপস্থিত লোকের সামনে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেলের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হালিম জানান ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী এবং পলাতক আসামী আলী হোসেন ও সজিব সকলেই পূর্ব পরিচিত। গত ০৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে আলী ও সজিব মুঠোফনে কল করে আকসিনগর এলাকায় আসতে বলে। হালিম সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় অপর দুই জন একজন অটো চালকে হাত পা বেধে অটোর ভিতরে আটকে রাখে এবং তাকে ভিকটিমের দুই হাত ধরতে বলে। হালিম ভিকটিমের হাত চেপে ধরলে তারা ভিকটিমকে গলায় ছুড়ি চালিয়ে হত্যা করে পাশের ফাঁকা যায়গায় ফেলে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হালিমকে দিয়ে অটো রিক্সা নিয়ে চলে যায়। অতঃপর হালিম উক্ত মোবাইলটি ৩০০০ টাকায় বিক্রি করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply