বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

হামাস ৩৪ বন্দি মুক্তি দিতে চায়, তবে….

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬১ সময় দেখুন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই হামাস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে তারা ৩৪ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হামাস ইতিমধ্যে ৩৪ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে।

 

এই তালিকায় ৫০ থেকে ৮৫ বছর বয়সী ১০ জন নারী এবং ১১ জন বয়োবৃদ্ধ পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া তালিকায় শিশুদের নামও রয়েছে, যাদের বিষয়ে হামাস দাবি করেছিল যে তারা ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। তালিকায় আরও কিছু অসুস্থ জিম্মির নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

হামাসের এক মুখপাত্র রবিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ৩৪ বন্দির তালিকা ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে সরবরাহ করা হয়েছে। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে তাদের হস্তান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বয়োবৃদ্ধ ও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেও, বন্দিদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন তা শনাক্ত করতে হামাস ১ সপ্তাহ সময় চেয়েছে।

৩৪ বন্দি মুক্তি দিতে চায় হামাস, নেপথ্যে…

 

তবে হামাসের এই দাবিকে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, তাদের কাছে কোনো তালিকা এখনও পৌঁছায়নি।

 

যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট ও ইসরায়েলি আগ্রাসন যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালীনও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়ায় একের পর এক শিশু প্রাণ হারাচ্ছে।

 

আলোচনার এই পর্যায়ে গাজাবাসীর ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। এদিকে, বাইডেন সরকারের হাতে মাত্র ১৫ দিন সময় থাকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সম্ভাবনা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ক্ষমতা গ্রহণের সময় যদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হয়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিত।

 

হামাস স্পষ্ট অঙ্গীকার চায় যে, বন্দিদের মুক্তি দিলেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি ছাড়াই মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর