শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলায় নিহত ২, আহত অর্ধশতাধিক

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৩ সময় দেখুন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বের ২০২৪ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট):  জার্মানিতে জনাকীর্ণ একটি ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়িচাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৮ জন। ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 

শুক্রবার রাতে সেন্ট্রাল জার্মানির রাজ্য স্যাক্সনি-আনহাল্টের রাজধানী ম্যাগডেবার্গ শহরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

 

কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। চালককে ঘটনাস্থল থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।

 

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এই ঘটনার পরপরই তাদের সমবেদনা জানিয়েছেন। শনিবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে তার কার্যালয় ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

শোলজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন— “ম্যাগডেবার্গের রিপোর্ট থেকে বোঝা যায় যে ভয়ানক কিছু ঘটেছে। আমার চিন্তা ভুক্তভোগীদের এবং তাদের পরিবার নিয়ে।’

 

“আমরা তাদের পাশে এবং ম্যাগডেবার্গের জনগণের পাশে আছি। এই উদ্বেগজনক সময়ে আমি নিবেদিত উদ্ধার কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।”

 

স্যাক্সনি-আনহাল্টের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী, তামারা জিসচাং সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সৌদি আরব থেকে একজন ৫০ বছর বয়সী ডাক্তার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি ২০০৬ সালে জার্মানিতে এসেছিলেন। তিনি আগে নিরাপত্তা পরিষেবার কাছে অজানা ছিলেন।

 

আল জাজিরার সংবাদদাতা ডমিনিক কেন শুক্রবারের হামলার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, গাড়িটি আঘাত করার সময় ক্রিসমাস মার্কেট অনেক ভিড় ছিল।

 

তিনি জানান, বড়দিনের আগের শেষ শুক্রবার, এটি পুরো জার্মানির ঐতিহ্য যে ক্রিসমাস মার্কেটগুলিতে ভিড় হয়।

 

কেইন জানান যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ওই গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন।

 

এর আগে ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গাড়িচাপার ঘটনা ঘটেছিল।

 

একজন তিউনিসিয়ান নাগরিক ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বড় পাবলিক স্কোয়ারের ক্রিসমাস মার্কেটে একটি ট্রাক চালিয়ে দেন। ওই হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৫৬ জনের মতো আহত হন। ওই যুবক শেষ পর্যন্ত ইতালিতে পালিয়ে যাওয়ার পর মিলানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

 

ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো জার্মানিও ইসরায়েলকে সামারিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তারা আন্তর্জাতিক যে কোনো ক্ষেত্রে ইসরায়েলের পক্ষাবলম্বন করে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুসলিম বিশ্বের মানুষ। অন্যদিকে ইউক্রেনকে সহযোগিতা দিয়ে রাশিয়ার চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে জার্মানি। এই হামলাটি সেসবের কোনো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর