রাজতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করায় থাইল্যান্ডে ১০ লক্ষাধিক সদস্যের একটি গ্রুপকে ব্লক করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। থাই সরকারের আইনি হুমকির মুখে গ্রুপটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ফেসবুক। ‘রয়্যালিস্ট মার্কেটপ্লেস’ নামে গ্রুপটিতে সোমবার বিকাল থেকে থাইল্যান্ডে বসবাসরত কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। তবে পেইজটিতে থাইল্যান্ডের বাইরে থেকে এখনো প্রবেশ করা যাচ্ছে।
রাজতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করা থাইল্যান্ডে অবৈধ হলেও সম্প্রতি দেশটিতে সাধারণ জনগন রাজতন্ত্র সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছেন। গ্রুপটির এডমিন পেবিন চাচাভালপোংপান বলছেন, ‘গ্রুপটিতে ১০ লাখেরও বেশি সদস্য রয়েছে যারা সবাই এহেন সরকার (রাজতান্ত্রিক) ব্যবস্থার সংস্কার চায়। এই গ্রুপের মাধ্যমে থাই জনগন রাজতন্ত্র নিয়ে তাদের মতামত মুক্তভাবে প্রকাশ করত। আর এই জনপ্রিয়তায় সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।’
চাচাভালপোংপান ভাষ্য মতে, ‘ওই গ্রুপে সাধারণত রাজতন্ত্র নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতো। গ্রুপে একটি অংশ সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের পক্ষে মত দিতেন, তবে তারা ছিলেন সংখ্যালঘু। অন্যদিকে একটি বড় অংশই মনে করতেন এই পুরো নিয়মটাই (রাজতন্ত্র) পরিবর্তন করে ফেলা দরকার।’
‘রয়্যালিস্ট মার্কেটপ্লেস’ বন্ধের পরপর মি. চাচাভালপোংপান সোমবারেই নতুন আরেকটি পেইজ খুলেন, যেখানে রাতারাতি ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার লাখে।’
ফেসবুক বলছে, ‘এই কনটেন্টটি বন্ধ করতে আমরা বাধ্য হয়েছি কারণ এটিকে থাই সরকার অবৈধ বলছে।’
‘তবে এই ধরনের উদ্যোগ খুবই ভয়ংকর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বিপরীত কারণ এটি জনগণের নিজেদের মতামত প্রকাশের ক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।’
সরকারের এই চাপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ফেসবুক লিগ্যাল চ্যালেজ্ঞের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরকারের এই চাপ প্রয়োগকে সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরাও।
থাই সরকারের কঠোর সমালোচকের তিনজনের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মি. চাচাভালপোংপান। থাই সরকার সবসময় জনগণকে চাচাভালপোংপান থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
বাকি দুজন হলেন, ব্রিটিশ সাংবাদিক এন্ড্রু মার্শাল ও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসের অধ্যাপক সমসাক জিমথেরাসাকুল।
Leave a Reply