মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের পর যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ সময় দেখুন

শাহরিয়ার ফেরদৌস-ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি (ঢাকা), ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মো. মাসুদ রানা ওরফে সোহেল রানা (৩৬) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, স্ত্রী তাকে হত্যা করেছে। আর পুলিশ বলছে, গলায় ফাঁসের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফাঁস আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা জানা যায়নি।

 

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের চর ভাকুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা ১২টা ৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি।

 

নিহত মো. মাসুদ রানা ওরফে সোহেল রানা ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের চর ভাকুলিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

 

নিহতের পরিবার জানায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে সোহেল ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে তর্কাতর্কি বাঁধে ও দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সোহেল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর রাতে তারা ঘুমাতে যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ তার স্ত্রী দরজা খুলে উঠে বাবা-মাসহ পরিবারকে সোহেলের আত্মহত্যার কথা জানায়। পরিবারের লোকজন ঘরে ঢুকে তাকে মেঝেতে শোয়ানো দেখতে পায়।

 

নিহতের বোন হেলেনা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাতে ঝগড়ার পর সোহেল বাইরে চলে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে তার স্ত্রী ডেকে বলে সে ফাঁসি দিয়েছে। ঘরে ঢুকে দেখি সোহেলকে মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। পরে মাথায় পানি দেই, তখনই দেখি সে জীবিত নেই। এছাড়া তার গলায় চিহ্ন দেখি। আর পাশে কাটা ওড়না দেখি।”

 

নিহতের বাবা মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘‘রাত ৯টার দিক থেকে সে আর তার স্ত্রী ঝগড়া করছে। পরে সে ১১টার পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আমি তাকে ফোন করলে সে জানায় ক্যারাম খেলছে চায়ের দোকানে গিয়ে। পরে রাতে বাড়ি আসে। ১২টার পরে ওর বউ ডেকে বলে আপনার ছেলে ফাঁসি দিছে। ঘরে ঢুকে দেখি তাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তার গলায় দাগ দেখছি। কিন্তু কোনো রশি বা ঝুলানো কিছু দেখি নাই৷ আমার অনুভব ওরে মেরে ফেলছে। আমি কেস করবো। আমি মামলা করবো।”

 

অন্যদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে তখন তারা মরদেহ উদ্ধার করেননি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখা যায়। এছাড়া আর কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

 

ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. নূরে আলম বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে তার মরদেহ দেখে গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখা যায়। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর