মোঃ মিজানুর রহমান, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি-পটুয়াখালী, ০২ মে ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের অন্যান্য গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একযোগে পবিপ্রবির মূল ক্যাম্পাসে অবস্থিত ১৬টি হলে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পবিপ্রবি কেন্দ্রে এ বছর মোট ৪৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৪৫৪ জন, যা উপস্থিতির হার হিসেবে ৯৩.৯৯ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় সর্বাত্মক প্রস্তুতি। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ ও সহযোগিতায় অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য যা প্রয়োজন, আমরা তা নিশ্চিত করেছি।”
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পরীক্ষার পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারের মাধ্যমে রোল নম্বর, কেন্দ্র ও ভবন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিটি ভবনের প্রবেশপথে নিরাপত্তা উপ-কমিটি, পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলরের সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল লতিফ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ভাইস-চ্যান্সেলর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন মোট ৭২ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী। এই ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো—ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply