স্পোর্টস ডেস্ক, ০১ মে ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৫ উইকেট- মেহেদী হাসান মিরাজের এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হল।
চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করে জিম্বাবুয়ে।
জবাবে সাদমান ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে সব উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংস থেকে ২১৭ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। সাদমান ১২০ ও মিরাজ ১০৪ রান করেন।
প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ম্যাচের তৃতীয় দিন ১১১ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে।
এদিনে বড় লিড মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চাপেই যেন শেষ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার! বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের ৭ম ওভারেই ব্রায়ান বেনেটকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তিনি। ৬ রান করে এই ওপেনার ফেরায় ৮ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
দুই বল পরই আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। এবার তার শিকার নিক ওয়েলচ। ২ বল খেলে ডাক মারেন ওয়েলচ।
এদিকে ১১তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান আরেক স্পিনার নাঈম ইসলাম। ১৬ বল খেলে ৭ রান করা শন উইলিয়ামসকে ফেরান তিনি। এতে ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এরপর ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও বাধ সাধেন মিরাজ। ৩০তম ওভারের প্রথম বলে আরভিনকে বোল্ড এবং একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাদেভারেকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার।
নিজের পরের ওভারে ফিরেও উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। তাফাদা সিগা এনামুল বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং বেন কারানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন মিরাজ। এতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে বোলিংয়ে ফিরে জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হয়েছে মাসাকেসা।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। মিরাজ ৩২ রানে নেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান পেয়েছেন ৩ উইকেট।
Leave a Reply