বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

হংকংয়ের প্রত্যাবর্তন বিলের মৃত্যু হয়েছে : বলেছেন অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯
  • ১৫৭ সময় দেখুন

গণবিক্ষোভের মুখে ‘মৃত্যু’ হয়েছে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তন বিলের। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। তিনি বলেন, প্রত্যাবর্তন বিলটি নিয়ে সরকারের চেষ্টা স¤পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো ঘোষণা দেননি তিনি। ওই বিলে প্রস্তাবিত আইন অনুসারে হংকং থেকে চীনসহ যেকোনো দেশে অপরাধীদের প্রত্যাবর্তন করা যাবে। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা এই আইন পাস হলে স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটিতে চীনের প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরের এপ্রিলে এই প্রত্যাবর্তন আইনের বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভ হয়। এরপর গত মাসে হংকংয়ের রাজপথে নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ।

দাবি জানায় আইনটির প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়ার। অব্যাহত গণবিক্ষোভের মুখে প্রত্যাবর্তন বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপনের সময়সীমা পিছিয়ে দেয় হংকং সরকার। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে একেবারে বাতিল করা হয়নি। তখন লাম জানিয়েছিলেন, আইনটি নিয়ে হংকং সরকার যথাযথভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিক্ষোভে মুখে বিলটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো অনেকের মনে সন্দেহ রয়ে গেছে যে, সরকার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে বিলটি পাসের প্রক্রিয়া ফের শুরু করতে পারে। তাই আমি ফের বলছি, সরকারের এরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। বিলটির মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যাবর্তন বিলটি পাস করার পক্ষে সরকারের যুক্তি ছিল, হংকং যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সেজন্যই এই আইন প্রয়োজন। বাকস্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রস্তাবিত আইনটিতে বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলা এই আইনের আওতাভুক্ত হবে না। সরকার আরো দাবি করেছিল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদ-ের সঙ্গে এই প্রস্তাবিত আইন সঙ্গতিপূর্ণ। শুধু গুরুতর অপরাধের সঙ্গে স¤পৃক্ত ব্যক্তিবিশেষকেই এই আইন প্রয়োগ করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বিবেচনা করা হবে।

কিন্তু আইনটির সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন, এই আইনের কারণে স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটির ৭৩ লাখ বাসিন্দা, এমনকি বিমানবন্দর ব্যবহারকারী ব্যক্তিবিশেষ চীনের সরকার প্রভাবিত আদালতের নির্দেশের আওতাভুক্ত হয়ে যেতে পারেন। উল্লেখ্য, ১৮৪১ সাল থেকে বৃটিশ কলোনির অধীন ছিল হংকং। প্রথম অপিয়াম যুদ্ধের পর বৃটিশদের কাছে দ্বীপটি সমর্পণ করে দিয়েছিল চীন। পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালে সার্বভৌমত্ব অর্জনের পর ‘ওয়ান কান্ট্রি, টু সিস্টেম’ শর্তের আওতায় ফের চীনের কাছে হস্তান্তরিত হয় হংকং। এতে হংকং চীনের অধীনে থাকলেও তাদের নিজস্ব শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত এটিই ছিল অঞ্চলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের একটি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর