ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং (দৈনিক দেশপ্রেম রিপোর্ট): মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল এমএজি আতাউল গণি ওসমানী।
১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন।
একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন।
পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সিলেটে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় জনতা পার্টির উদ্যেগে সিলেটে বঙ্গবীর ওসমানীর ১০৭ তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর এম.এ.জি. ওসমানীর ১০৭ তম জন্মবার্ষিকীতে নানান কর্মসুচী পালন করেছে জাতীয় জনতা পার্টির সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি। আজ সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকায় জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খানের ছেলে অ্যাডভোকেট তাহমিনুল খানের নেতৃত্বে হযরত শাহজালাল মাজারে বঙ্গবীর ওসমানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত করে দলটি সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় জাতীয় জনতা পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান বলেন, ছাত্র জনতার দুঃসাহসিকতা ও আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী সরকারের দুঃসশাসনের অবসান হয়েছে। আমি জাতীয় জনতা পার্টির পক্ষে আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আহতদের সুস্থতা কামনা করি। গণঅভ্যুত্থানের পর ড.ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে যে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠন করা হয়। আমি অন্তর্বতী কালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় জনতা পার্টি ও জেনারেল ওসমানী বিগত সরকার গুলোর আমলে নানা বৈষম্যের শিকার। যেমন দলকে নিবন্ধন না দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক পদবী কেড়ে প্রধান সেনাপতি করা, প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা ইত্যাদি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাই অনতিবিলম্বে জাতীয় জনতা পার্টির নিবন্ধন পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এসময় উপস্তিত ছিলেন জাতীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মুহিত, সেলিম আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তুহিন আহমদ খান, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান শফিক, সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
পরে বিশেষ মোনাজাতে প্রয়াত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খানসহ দলের সকল নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা ও অসুস্থ সকলের রোগমুক্তি কামনা করা হয়।
Leave a Reply