ব্যাপক সমালোচনা আর আইনি যুদ্ধের পর অবশেষে আদমশুমারিতে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন সংযোজনের পরিকল্পনা থেকে পিছু হটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভিন্ন উপায়ে তিনি নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে দেশটিতে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
দশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে আদমশুমারি। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী প্রত্যেককে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বিরোধীদের অভিযোগ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের সমর্থিত এলাকা চিহ্নিত করতেই, এ ব্যবস্থা নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। অন্যদিকে অভিবাসীদের দাবী নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলোর দাবি, নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়াতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদমশুমারিতে নাগরিকত্ব ইস্যুতে প্রশ্ন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মার্কিন আদালত। এরপরই নিজের পরিকল্পনা থেকে পিছু হটেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য আদমশুমারিতে নাগরিকত্ব বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। একইসঙ্গে এর বিরোধীদের সমালোচনা করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কিনা, এই প্রশ্নের জবাব দিতেই তাদের এত আপত্তি। আসলে যারা মার্কিন নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করেন না, তারাই নাগরিকত্ব শব্দটি নিয়ে আমাদের সঙ্গে লড়াই করেছেন। তবে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের মধ্যে কাদের নাগরিকত্ব আছে আর কাদের নেই, তার সঠিক সংখ্যা অবশ্যই বের করা হবে। তবে বৃহস্পতিবারই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের নাগরিকত্ব নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য তার প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার শিকাগোসহ বেশ কয়েকটি শহরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে, প্রতিবাদীরা অভিবাসন ইস্যুতে বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
Leave a Reply