ক্যম্পাস প্রতিনিধি-বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩ মে ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): ববি উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে গতকাল (সোমবার) রাত ১০টায় অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। পরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা৷ আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকাল পাঁচটায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা৷ এ সময় শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিও চলমান থাকে৷
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে বসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১২ জন৷
অনশনকারী একাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়৷ এ দিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে আজকে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন- আইকিউএসি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সোহেল চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আলমগীর হোসেন, শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক, ড. মো. আলমগীর মোল্লা, শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক, সহকারী অধ্যাপক মামুনুর রহমান।
মহাসড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলছে আজকে একমাস। আমরা জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা রাস্তা অবরোধ করিনি।
গতকাল রাত থেকে আমাদের ১২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছে। এর মধ্য পাচ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এতকিছুর পরও স্বৈরাচারী উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়নি। বাধ্য হয়েই আজকে আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছি। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনের কোনো পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে মামলা ও জিডি করেছেন। তিনি ভিসি থাকার সকল নৈতিকতা হারিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের এক দফা দাবি মেনে নিতে হবে। না হয় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
অনশনরত শিক্ষার্থী ওয়াহিদুর রহমান বলেন, শূচিতা শরমিনের পদত্যাগ না হলে, আমার কফিন এখান থেকে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ২৮ দিন যাবৎ শিক্ষার্থীরা একজন স্বৈরাচার উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ন্যায্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাকে সরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপক্ষের কী ধরনের বাধা রয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য সড়ক অবরোধ করেছে। জেনেছি তারা আমরণ অনশনে বসেছে। সার্বিকভাবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন অবনতি না হয় সেজন্য আমরা এখানে আসছি। আশা করছি দ্রুত তাদের বিষয়টি সমাধান হবে।
Leave a Reply