শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

এবারে পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত : গবাদী পশু জবাইয়ে বিশেষ নজরদারী

আব্দুল্লাহীল কাফী মাসুম, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি-রংপুর
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৩০ সময় দেখুন

আব্দুল্লাহীল কাফী মাসুম, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি-রংপুর, ২২ অক্টোবর ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): রংপুরের পীরগঞ্জে এবার অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত উপসর্গের ৯ রোগী শনাক্ত। মঙ্গলবার (২১শে অক্টোবর) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ জনের নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁদের বাড়ি উপজেলার দ্বাড়িয়াপুর গ্রামে। উক্ত গ্রামে একটি অসুস্থ গরু জবাই হলে এ জীবানু ছড়ায় মানুষের শরীরে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি বিশেষ মেডিকেল টীম ঐ গ্রামে আরও আক্রান্ত রোগী আছে কি না তা যাচাই করতে সেখানে গেলে আরও ৪ জনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা।

 

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় তথ্য মতে, সোমবার ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮ জন, কাউনিয়ায় ১৮ জন, মিঠাপুকুরে ১২ জন, গংগাচড়ায় ৭ জন ও পীরগঞ্জে ১ জন সহ মোট ৭৬ জন সন্দেহভাজন অ্যনথ্রাক্স রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, পীরগঞ্জের অ্যানথ্রাক্স রোগীর তথ্য এই হিসেবে যুক্ত হয়নি।

 

এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা বলেন, জেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগীর সংখ্যা ১১ জন।তবে, অ্যনথ্রাক্স সন্দেহেজনক রোগীর সংখ্য অনেক বেশী।কারণ হিসেবে তিনি জানান,” অ্যনথ্রাক্স উপসর্গের রোগীর নমূনা নিতে হলে শরীরে কাঁচা ঘা থাকতে হয়। ঘা শুকিয়ে গেলে নমূনা সংগ্রহ করা সম্বব হয় না।” উল্লেখ্য যে, গত আগস্টের শুরুতে হঠাৎ করে পীরগাছায় একের পর এক গবাদীপশুর মৃত্যু হতে থাকে। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের। পরে রোগের প্রকোপ ও প্রাদূর্ভাব নজরদারী করা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৩ ও ১৪ ই সেপ্টেম্বর পীরগাছা গিয়ে ১২ জনের নমূনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ৮ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।

 

চিকিৎসকরা বলেছেন, ” অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদীপশুর শ্লেষ্মা,লালা,রক্ত,মাংস,হাড়, নাড়িভূড়ির সংস্পর্শে  এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ গবাদীপশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। তবে, মানুষ থেকে মানুষে এ রোগ ছড়ায় না।মানুষের শরীরে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে, চামড়ায় ঘা সৃস্টি হওয়া।”

 

এ জন্য প্রাণী সম্পদ বিভাগকে গরু-ছাগলের প্রতিষেধক টিকা কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ  দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, অ্যানথ্রাক্স রোগ হয় “ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস” নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর