শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
  • ৬ সময় দেখুন

ঢাকা, ০৯ মে ২০২৫ইং (দৈনিক দেশপ্রেম রিপোর্ট): আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে পাশের পানির ফোয়ারার সামনে গণজমায়েত শেষে এবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বিকালে সাড়ে চারটার পর থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করে ছাত্র-জনতা। অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি এবং বাংলামোটরগামী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

 

এদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং গণহত্যার বিচারের আহ্বান করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এই অবরোধে অংশ নিয়েছে।

 

এদিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

 

এর আগে শুক্রবার বিকালে গণজমায়েতের মঞ্চে শাহবাগ মোড় ব্লকের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

 

তিনি বলেন, ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবো।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে “বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ”। আমরা সকলকে একত্রিত করতে এই জমায়েতের ব্যবস্থা করেছি। এখান থেকে গিয়ে আমরা এখন আমরা শাহবাগ অবরোধ করবো। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হবে না, ততক্ষণ আমরা শাহবাগ ছাড়ব না।’

 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের প্রত্যেকটা স্তরে স্তরে আওয়ামী লীগের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে তারা হত্যা-খুন করেছে। ভারতীয়দের সহায়তায় আমাদের দেশপ্রেমিক বিডিআরদের পিলখানায় হত্যা করা হয়েছে। শাপলায় গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের ফিরিস্তি অনেক দেওয়া হয়েছে, আর নয়। আওয়ামী লীগ নামক ভাইরাস নিয়ে এ বাংলাদেশে থাকতে চাই না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, হাসিনা ছিল মোদির বেতনভুক্ত কর্মচারী। এখন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি এই ভূখণ্ড থেকে নির্ধারিত হবে। বিদেশের প্রেসক্রিপশন এদেশে আর চলবে না।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর