সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় নরসিংহপুর চলছে লাইসেন্স বিহীন এলপি গ্যসের দোকান ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
  • ৮ সময় দেখুন

মুনসুর আলী-ভ্রাম্যামান প্রতিনিধি, ১২ মে ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঔষধের দোকান মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে বিক্রি করছে, এল পি গ্যাস সিলিন্ডার। সরকারের বেধে দওয়া নিয়মনীতি তোয়াক্কা করে অবৈধ ভাবে করছে ব্যবসা।ফলে প্রতনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা । এ সকল অবৈধ দোকানে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নেই কোন তদারকি, ফলে সুবিধাবাদি অসত ব্যবসায়িরা নিম্ন মানের সিলিন্ডার বিক্রি করে বলে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ।

সুত্র মতে জানাযায় আশুলিয়ার নরসিংহপুর বটতলা আবজাল সুপার মার্কেটে আব্দুল করিমের অবৈধ গ্যাসসিলিন্ডারের ডিপোতে গ্যাস টুনিং করার সময় গ্যাসসিলিন্ডার থেকে অগ্নির দুর্ঘটনায়, পাসের মার্কেট গুলোর বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এবং এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। উক্ত এলাকার সচতন মহল জানায় প্রতিনিয়ত বড় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছোট গ্যাসসিলিন্ডারে গ্যাস টুনিং করে, আমরা বাধাদিলে আমাদের সাথে খারাপ আচারন করে,এবং আমাদের কে চাঁদাবজি মামলার হুমকি দেয়। এছাড়াও উক্ত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবসায়িদের বিরুদ্ধে রয়েছে সিলিন্ডারে বালি পানি ভরে অল্প গ্যাস ঢুকিয়ে বাজার জাত করার অভিযোগও রয়েছে এ সকল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও সাভার আশুলিয়ায় অবৈধভাবে নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি কয়ার ফলে আশুলিয়ার দূর্গাপুর চালাবাজার এলাকার একটি দ্বিতলা ভবনের নিচতলার বাসার সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ ও আগুনে পাঁচ বছরের শিশুসহ এক দম্পত্তি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন: মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সূর্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল রানা (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুরাহা (৩)।

এ ছাড়াও উক্ত এলাকায় এ ধরনের দূর ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কতৃপক্ষের নজরদারি না থাকার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়িরা নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডারে নিজেরাই বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে টুইনিং করার সময় ঘটে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অপর এক সূত্রে জানা যায়, ডিপুর গ্যাস ব্যবসায়িরা ইনসুরেন্স করে রেখে নিজেদের ডিপোতে গ্যাস টুই নিং করার সময় আগুন লাগিয়ে দেয় ইনসুরেন্সের টাকা পাওয়ার লোভে। এরকমই ঘটনা ঘটেছে আশুলিয়ার নরসিংহপুর বটতলা আফজাল সুপার মার্কেটে ফজলুর করিমের ডিপোতে। করিম সাদামনে সাংবাদিকদের জানায় আগুন লাগাতে আমার কোন লচ্ নেই। কারন আমার ইনসুরেন্স করা আছে। আমার যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি আমাকে ক্ষতিপূরণ দিবে। সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরদারি বাড়ানো সহ প্রতিনিয়ত অভিযান করলে দূর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেত সাধারণ মানুষ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর